মহাভারত ও গীতায় নাস্তিকতা
মহারাজ, বিধাতা প্রাণিগণকে মাতা-পিতার দৃষ্টিতে দেখেন না, তিনি রুষ্ট ইতর জনের ন্যায় ব্যবহার করেন। তোমার বিপদ আর দুর্যোধনের সমৃদ্ধি দেখে আমি বিধাতারই নিন্দা করছি যিনি এই বিষম ব্যবস্থা করেছেন। যদি লোকে পাপকর্মের ফলভোগ করে তবে ঈশ্বরও সেই পাপকর্মে লিপ্ত। আর, যদি কেউ পাপ করেও ফলভোগ না করে তবে তার কারণ – সে বলবান। দুর্বল লোকের জন্যই আমার শোক হচ্ছে।যুধিষ্ঠির বললেন, যাজ্ঞসেনী, তোমার কথা সুন্দর আশ্চর্য ও মনোহর, কিন্তু নাস্তিকের যোগ্য।মহাভারত , বনপর্ব, অর্জুনাভিগমনপর্বাধ্যায়, (৭) দ্রৌপদী-যুধিষ্ঠিরের বাদানুবাদ
অথ চৈনং নিত্যজাতং নিত্যং বা মন্যসে মৃতম্।
তথাপি ত্বং মহাবাহো নৈনং শোচিতুমর্হসি।।
অনুবাদঃ হে মহাবাহো! আর যদি তুমি মনে কর যে, আত্মার বারবার জন্ম হয় এবং মৃত্যু হয়, তা হলেও তোমার শোক করার কোন কারণ নেই।
তাৎপর্যঃ প্রায় বৌদ্ধদের মতো কিছু দার্শনিক আছে, যারা আত্মার দেহাতীত স্বতন্ত্র অস্তিত্বের কথা মানতে চায় না। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন ভগবদ্গীতা বলেন, সেই যুগেও এই ধরনের নাস্তিক ছিল, তাদের বলা হতো লোকায়তিক ও বৈভাষিক।
শ্রীমদ্ভগবদগীতা যথাযথ, সাংখ্য-যোগ, শ্লোক ২৬
0 Comments